ট্যাংরা মাছ (Tengra Fish) পরিচিতি: বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ ও উপকারিতা

সাধারণ নামঃ ট্যাংরা (Tengra Fish)

ট্যাংরা মাছের বৈজ্ঞানিক নামঃ মাইস্টাস টেঙ্গরা (Mystus tengara).

ট্যাংরা মাছের ইংরেজি নাম: Tengra Fish

ট্যাংরা মাছের গোত্র, বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস

জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Siluriformes
পরিবার: Bagridae
গণ: Mystus
প্রজাতি: Mystus tengara

ট্যাংরা মাছের বৈশিষ্ট্য: আঁশবিহীন এ মাছের পিঠ কাল, পেট হলুদ। একটা লম্বা কাল রেখা দেহের দু’পাশে রয়েছে। এ মাছ ২০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। মাথায় দু’জোড়া শুঁড়, মাথার দু’পাশে দু’টি বিষযুক্ত ও পিঠের উপর একটি শক্ত কাঁটা আছে।

ট্যাংরা মাছের ছবি

ট্যাংরা মাছের প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশের খাল, বিল, নদী, ডোবা-নালা, ধানক্ষেত ও পুকুরে পাওয়া
যায়।

ট্যাংরা মাছের বাসস্থানঃ এ মাছ পানির মধ্যস্তরে বাস করে।

ট্যাংরা মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিমানঃ প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ১৯.২ গ্রাম, ফ্যাট ০.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়া ২৭৮ মি.গ্রা., ফসফরাস ১৮২ মি.গ্রা. লোহা ০.২ গ্রাম এবং পানি৭৩.০ শতাংশ আছে।

ট্যাংরা মাছের খাদ্যঃ ট্যাংরা মাছের প্রিয় যান্য টিপতঙ্গ। এ ছাড়া তারা শুককীট ও ছোট শামুক যায়। এ মাছ মশার শুককীট খেয়ে মশার বংশবিস্তার রোধ করে।

ট্যাংরা মাছের প্রজননঃ ট্যাংরা মাছ প্রথম বছরে প্রজনন উপযোগী হয়। বর্ষাকালে স্ত্রী ট্যাংরা পুকুর, খালে, বিলে ডিম পাড়ে। ট্যাংরা মাছের ডিম জলজ আগাছার সাথে যুক্ত থাকে। পিটুইটারি গ্রন্থিতে ইনজেকশনের সাহায্যে কৃত্রিম প্রজনন করানো যায়।

বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদাঃ ট্যাংরা মাছ খুবই সুস্বাদু। ছোট মাছের মধ্যে এর খুব বেশি চাহিদা। এ মাছ রোগীর পথ্য হিশেবে খাওয়া হয়।

ট্যাংরা মাছের দাম: ট্যাংরা মাছে ১০/১২ সে.মি. লম্বা হলেই জাল দিয়ে ধরে বাজারজাত করা যায় । পচনশীল বলে এ মাছ ধরে দ্রুত বাজারজাত করা উচিত। বাজারে প্রতি কেজি ট্যাংরা ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আমি কৃষিবিদ তানজিম আহমেদ, কৃষি বিষয়ক ব্লগার।

You cannot copy content of this page