সাধারণ নাম: সিলভার কার্প (Silver carp) বা রুপালি রুই।
বৈজ্ঞানিক নাম: হাইপোথ্যালমিকথিস মলিট্রিক্স (Hypophthalmichthys molitrix)
দেহের বিবরণ: সিলভার কার্পের দেহের মধ্যঅংশ চওড়া, মাথা ও লেজের দিক সরু। এ মাছ দেখতে অনেকটা ইলিশ মাছের মত।
এর দেহে ক্ষুদে রুপালি রঙের আঁশ দিয়ে ঢাকা। এর পাখনা কালো, পিঠের পাখনার সংখ্যা ১০ টি।
প্রাপ্তিস্থান: চীন ও রুশিয়ার আমুর নদী।
বাসস্থান: এরা নদী, খাল-বিল, পুকুর, হাওড় ও বাওড়ের পানির উপরের স্তরে বাস কারে
রোগবালাই: কীটনাশক ওষুধ ও অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারে দেহে নানা ধরনের
পচন রোগ দেখা দেয়।
পুষ্টিমান: প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ২০ গ্রাম প্রোটিন, ১.১ গ্রাম ফ্যাট ও ১১ গ্রাম লোহা,
৩৫০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম এবং ৩৮২ মি.গ্রা. ফসফরাস থাকে।
খাদ্য: সিলভার কার্প ছোট অবস্থায় শ্যাওলা খায়। পরিণত বয়সে ফাইটোপ্লাঙ্কটন, পচা
জলজ উদ্ভিদ খায়। পুকুরে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে খৈল, কঁড়া, গমের ভূষি দেয়া
যেতে পারে।
প্রজনন: দু’বছরের মধ্যেই সিলভার কার্প প্রজনন ক্ষম হয়। তবে এরা বদ্ধ পানিতে ডিম
পারে না।
বর্তমানে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন জায়গায় সিলভারকার্প মাছের কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে। সেসব জায়গা হতে পোনা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদা: রুপালি রুই বা সিলভার কার্প বিদেশী মাছ হলেও সর্বসাধারণের কাছে চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাছ ধরা ও বাজারজাত করন: বিদেশী মাছের মধ্যে সিলভারকার্প অত্যন্ত দ্রুত বর্ধনশীল। প্রথম বছর প্রায় দেড় কেজি এবং দ্বিতীয় বছরে ৪-৫ কেজি পর্যন্ত হয়।
অবশ্য পরে এ হার কমে যায়। তাই এক হতে দেড় বছরের সিলভারকার্প ধরে বাজারজাত করা উচিত।
বর্তমানে প্রতি কেজি রুই এর দাম ১৫০ হতে ২০০ টাকা।