সাধারণ নাম : পুঁটি/জাতপুঁটি (Punti fish or Puti mach, Puntius sophore)
বৈজ্ঞানিক নাম : পুন্টিয়াস সফোরে (Puntius sophore)
দেহের বিবরণ : পুঁটি মাছ তিন থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা হয়। গায়ের রং রূপালি। এ মাছের পিঠে, পেটে ও দুই কানকোর পাশে পাখনা আছে। কানের পাশে কালো রঙের ফোঁটা আছে।
প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের সর্বত্রই এ মাছ পাওয়া যায়।
বাসস্থান : নদীনালা, খালবিল, হাওড়বাওড়, পুকুর, ধানক্ষেত সব জলাশয়ে এ মাছ পাওয়া যায়।
পুষ্টিমান ও উপকারিতা: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ১৯.০,ফ্যাট ২.০ ও লোহা ০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৫০ মি. গ্রা. এবং ফসফরাস ১৯০ মি.গ্রা. ও পানি ৭৫.৫ ভাগ।
খাদ্য : পোকামাকড়, শ্যাওলা, কুঁড়া ইত্যাদি খাদ্য খেয়ে থাকে।
প্রজনন : পুঁটি মাছ এক বছর বয়সে প্রজননক্ষম হয়। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ্টি হলে ডিম ছাড়ে। ডিম ফোটার পর পোনাগুলি ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়।
চাহিদা : বাংলাদেশের সর্বত্র এ ছোট আকারের মাছটি জনপ্রিয়। খেতে বেশ সুস্বাদু । এ মাছ সব জলাশয়ে পাওয়া যায় বলে গরিব মানুষের কাছে সহজলভ্য।
বাজারজাতকরণ : জাল এবং বানার সাহায্যে পুঁটি ধরা হয়। বর্তমানে এক কেজি পুঁটি মাছের দাম ২০০-৪০০ টাকা। এ মাছ শুঁটকি করা যায়। পঁটি মাছ দিয়ে চ্যাপার শুঁটকি হয়। এটা গ্রামের মানুষের খুব প্রিয় খাবার।