সাধারণ নাম : নাইলোটিকা Nilotica fish, Nile tilapia, Oreochromis niloticus
নাইলোটিকা এর বৈজ্ঞানিক নাম: ওরিওক্রমিস নাইলোটিকাস (Oreochromis niloticus)
নাইলোটিকা মাছ ইংরেজি: Nile tilapia
দেহের বিবরণ : নাইলোটিকার দেহ ছাই রঙের। আঁশযুক্ত এ মাছের পিঠে পাখনার কাঁটা সংখ্যা ১৭ টি। পুরুষ মাছের জননেন্দ্রিয় ক্ষুদ্র মোচাকৃতি এবং অগ্রভাগ দিখন্ডিত।
নাইলোটিকা মাছের আদিবাস কোথায় : আদি বাস আফ্রিকা। ১৯৪৭সালে থাইল্যান্ড হতে আমাদের দেশে প্রথম আনা হয়।
বাসস্থান : ছোট পুকুর, ডোবা- নালা, দীঘি, ঝিল,চৌবাচ্চা ইত্যাদি এবং অগভীর পানিতে এরা থাকতে পারে।
রোগবালাই : নাইলোটিকার প্রধান শত্রু হলো প্রোটোজোয়ান প্যারাসাইটি। নার্সারি পুকুরে পরজীবী সিলিয়েট গ্রুপের অন্তর্গত টাইকোডিনা ও কিলোড়নেলা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এ মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশি।
নাইলোটিকা মাছের উপকারিতা: এ মাছে প্রচুর আমিষ জাতীয় উপাদান আছে। নাইলোটিকা মাছ খেতে সুস্বাদু।
নাইলোটিকা মাছের খাবার : এ মাছ সব ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। তবে জলজ শ্যাওলা ও পোকামাকড় এদেও প্রধান খাদ্য। সম্পূরক খাদ্য হিসেবে চাউলের মিহি গুঁড়া ও সরিষার খৈল গুঁড়া দেয়া হয়।
নাইলোটিকা মাছের সম্পূরক খাদ্য তালিকা
প্রজনন : নাইলোটিকা ৩-৪ মাসের মধ্যেই প্রজননক্ষম হয়। প্রসবের আগে পুরুষ নাইলোটিকা এ বাসায় ডিম ছাড়ার জন্য স্ত্রী মাছকে আমন্ত্রন জানায়। স্ত্রী মাছ প্রতিবাওে ১৫-২০ টি ডিম পাড়ে।
৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ২৫-৩৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্ত্রী মাছের মুখের ভিতর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এ মাছ দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদা : যদিও সকল শ্রেণীর কাছে এ মাছ খুব সমাদৃত নয় দাম কম বলে গরিব জনসাধারণের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ : পোনা ছাড়ার ৩-৪ মাসের মধ্যে এ মাছ বাজারজাত করা যায়। এ মাছ ৩-৪ মাসে ৫ ইঞ্চি লম্বা হয়। প্রতি কেজি নাইলোটিকা মাছের বর্তমান দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
নাইলোটিকা মাছ কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে আনা হয়
নাইলোটিকা চাষ পদ্ধতি
তেলাপিয়া ও নাইলোটিকা
মিনার কাপ মাছ