মলা মাছ (Mola Fish, Mola mach, Amblypharyngodon mola), মলাইয়া মাছ নামে পরিচিত, মিঠা পানির রশ্মিযুক্ত মাছের একটি ছোট মাছের প্রজাতি।
তাদের খাদ্য হ্রদ এবং এর উপনদীতে পাওয়া বিভিন্ন ছোট পোকামাকড়, ক্রাস্টেসিয়ান, মলাস্ক, জুপ্ল্যাঙ্কটন এবং ডায়াটম নিয়ে গঠিত।
মলা কি?
সাধারণ নাম: মলা/মলাইয়া (Mola Fish, Mola mach, Amblypharyngodon mola)
মলা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম: এম্বলিফারিনগোডন (Amblypharyngodon mola)
শ্রেণীবিন্যাস
- জগৎ: Animalia
- পর্ব: Chordata
- শ্রেণী: Actinopterygii
- বর্গ: Cypriniformes
- পরিবার: Cyprinidae
- উপপরিবার: Danioninae
- গণ: Amblypharyngodon
- প্রজাতি: Amblypharyngodon mola
দেহের বিবরণ: মলা মাছের দেহ পাতলা আঁশে ঢাকা ও হাল্কা রুপালি রঙের। মলা মাছের কাঁটা নরম, উপরে ঠোঁট নেই, চোয়ালে পাতলা আবরণ আছে। এ মাছ লম্বায় ৯ মি.মি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রাপ্তিস্থান: বাংলাদেশের সর্বত্র খালবিল, নদীনালা, পুকুরে প্রচুর পরিাণে মলা মাছ পাওয়া যায়।
বাসস্থান: মলা মাছ পানির উপরিস্তরে বাস করে।
রোগবালাই: এ মাছ সাধারণত ড্রপসি ও ট্রাইকোডোনিয়াসিস রোগে আক্রান্ত হয়।
মলা মাছের উপকারিতা | মলা মাছ খেলে কি হয়?
এ মাছ ছোট বাচ্চাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।
মলা মাছের পুষ্টিগুণ | মলা মাছে কোন ভিটামিন থাকে?
মলাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা ও ভিটামিন ‘এ’ থাকে। গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষ বড় মাছ কিনতে পারে না বলে তাদের কাছে এ মাচের চাহিদা খুব বেশি।
খাদ্য: মলা মাছ ছোট পোকামাকড় খায়। তারা গমের ভুষি খৈল, কুঁড়া ও শ্যাওলা খেয়ে থাকে।
প্রজনন: মে থেকে অক্টোবর মাস মলা মাছের ডিম ছাড়ার সময়। মলার বংশ বৃদ্বির জন্য এ সময় মাছ ধরা উচিত নয়। স্ত্রী মলা একবারে ৫০০ এর মত ডিম পাড়ে।
চাহিদা: বাজারে এ মাছের প্রচুর চাহিদা আছে। ছোট মাছের মধ্যে মলা চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ: মলা মাছ দেড় ইঞ্চির মতো বড় হলে ঘন বুননের জাল দিয়ে ধরে দ্রুত বাজারে বিক্রি করা উচিত। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মলার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।