বাটা মাছ (Labeo Bata): প্রাপ্তিস্থান, বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাবাস ও প্রজনন

বাটা মাছ একটি জনপ্রিয় খেলা মাছ এবং এর স্বাদের জন্য জনপ্রিয়। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২৫-৩৫ সেন্টিমিটার (৯.৮–১৩.৮ ইঞ্চি)।

এটি প্রোটোজোয়া, শৈবাল এবং ছোট ছোট মাছ খায়। এটি একটি ধীর গতির মাছ।

বাটা মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম

সাধারণ নাম: বাটা মাছ

বৈজ্ঞানিক নাম: ল্যাবিও বাটা (Labeo Bata)

বাটা মাছ ইংরেজি: Bata Labeo

বাটা মাছ চেনার উপায় (বাটা মাছের বৈশিষ্ট্য)

দেহের বিবরণ

এ মাছের দেহ লম্বা ও সরু। এটি উপরের অর্ধেকে নীল বা গাঢ়, নীচে রৌপ্য, এবং ওপারেলটি হালকা কমলা। পাখনাগুলোতে সুুক্ষ দেহ আঁশে ঢাকা এবং দেহের দু’পাশে রেখা থাকে। পরিণত অবস্থায় এ মাছ ৩০ সে.মি এর মত লম্বা হয়।

প্রাপ্তিস্থান

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সর্বত্রই এ মাছ পাওয়া যায়। এই মাছ সারা ভারত (পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, ত্রিপুরা ইত্যাদি) এবং বাংলাদেশ জুড়ে পাওয়া যায়। পুকুর, নদী, নালা-নর্দমাই এর প্রধান আবাসস্থল।

বাসস্থান

পুকুর, খাল, বিল, নদীনালা, ডোবা, হাওড়বাওড় ইত্যাদিতে পানির নিচের স্তরে বাস করে।

রোগবালাই

কীটনাশক ওষুধ ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতরোগে আক্রান্ত হয়।

পুষ্টিমান

প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে প্রোটিন ১৪.৩ গ্রাম, ফ্যাট ২.৪৮ গ্রাম. লোহা ১.০৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৯০ মি.গ্রা. এবং পানির পরিমাণ ৮১ ভাগ।

খাদ্য

এ মাছ জলাশয়ের তলদেশের পচা উদ্ভিদ, প্রাণিকণা, শ্যাওলা ও কাদামাটি খায়। এর খাদ্য প্রাথমিক পর্যায়ে ক্রাস্টেসিয়ান এবং একটি পোকামাকড়ের লার্ভা নিয়ে গঠিত।

প্রজনন

বর্ষাকালে বাটা মাছের প্রজননকাল। বর্ষাকালে স্রোতযুক্ত মিঠা পানিতে ডিম পাড়ে। বদ্ধ জলাশয়ে এ মাপছ ডিম পাড়ে না।

বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের কাছে চাহিদা: বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের কাছে বাটা মাছের চাহিদা আছে। কারণ এ মাচ অতি সুস্বাদু।

মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ

এ মাছ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে না। লম্বায় ৪/৫ ইঞ্চি হলে জাল দিয়ে ধরে বাজারজাত করা উচিত। বাজারে প্রতি কেজি বাটা মাছের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা।


আমি কৃষিবিদ তানজিম আহমেদ, কৃষি বিষয়ক ব্লগার।

You cannot copy content of this page