সাধারণ নাম: খলিসা/খৈল্লা (Kholisa Fish), Kholshe / খলশে / Banded gourami
বৈজ্ঞানিক নাম: কলিসা ফেসিয়াটাস (Colisa fasciatus), ইংরেজি নাম: Giant gourami
বৈশিষ্ট্য, দেহের বিবরণ: এ মাছ দেখতে অনেকটা ছোট কই মাছের মত। গায়ের উপরের দিকের রং ধূসর কাল ও নিচের দিকের রং সাদা, মুখ ছোট, ঠোটে লম্বা শুঁড় আছে। সারা শরীর আঁশ দিয়ে ঢাকা। পিঠে পেটে কাঁটাযুক্ত পাখনা আছে।
প্রাপ্তিস্থান: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান পাওয়া যায়।
বাসস্থান: পুকুর, জলাশয়, ডোবা, নালা, হাওড়বাওড়, খালবিলে পানির উপরিভাগে বাস করে।
রোগবালাই: কীটনাশক ওষুধ যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে এ মাছের দেহে ক্ষতরোগের সৃষ্টি হয়।
পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে প্রোটিন ১২.৪, ফ্যাট ৬.০ ও লোহা ১.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩৫ মি.গ্রা. ও ৪০০ মি.গ্রা. ফসফরাস থাকে।
খাদ্য: পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, এককোষী শ্যাওলা ইত্যাদি খায়। এ ছাড়াও গমের ভূষি, ফিশমিল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
প্রজনন: বর্ষাঋতু এ মাছের প্রজননকাল। এক বছর বয়সেই এ মাছ প্রজননক্ষম হয় এবং ডিম ছেড়ে এর বংশবিস্তার ঘটে।
উপকারিতা: বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের জনগণের কাছে কলসে মাছের চাহিদা প্রচুর। এ মাছ দামে সস্তা ও খেতে সুস্বাদু।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ: এ মাছ ১০০ কি.মি পর্যন্ত লম্বা হয়। জাল দিয়ে এবং পানি সেচের মাধ্যমে এ মাছ ধরা যায়।
বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। বাজারে প্রতি কেজি খরসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।