হাইব্রিড মাগুর মাছ (Hybrid Magur Fish), সঙ্কর মাগুর নামে পরিচিত।
হাইব্রিড মাছ কি, হাইব্রিড মাছ কোন ধরনের মাছ
হাইব্রিড মাগুর মাছের বৈশিষ্ট্য: হাইব্রিড মাগুর আঁশবিহীন জিওল মাছ। এ মাছের দেহের তুলনায় মাথা বড়, মাথার সামনে গোঁফ আছে। দেহ দেশী মাগুরের চেয়ে লম্বা ও মোটা। পেছনের দু’ পাশ চ্যাপ্টা। আফ্রিকান পুরুষ ও দেশী স্ত্রী মাগুরের মিলনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত হাইব্রিড মাগুর পুকুরে চাষ করা হয়।
হাইব্রিড মাগুর মাছের প্রাপ্তিস্থান: থাইল্যান্ড থেকে ইদানিং বাংলাদেশে এসেছে।
হাইব্রিড মাগুর মাছের বাসস্থান: পুকুর, ডোবা,খাল-বিল, বদ্ধ জলাশয়ে ও সীমিত জায়গায় এ মাছ চাষ করা যায়।
হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ পদ্ধতি (Hybrid Magur Fish Farming)
হাইব্রিড মাগুর মাছের ছবি
হাইব্রিড মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা: প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে প্রোটিন ৩২.০, ফ্যাট ১.০, লোহা ০.৭ গ্রাম এবং ক্যালসিয়াম ১৭৩ ও ফসফরাস ৩০২ মি.গ্রা, এবং পানি ৬৭.০ ভাগ থাকে।
হাইব্রিড মাগুর মাছের খাদ্য: হাইব্রিড মাগুর সর্বভুক প্রাণী। এ ছাড়া ও সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ফিসমিল দেয়া যেতে পারে।
প্রজনন: মে মাস হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ মাছের প্রজননকাল। পরিপক্ক ডিমে ভরা দেশী স্ত্রী ও আফ্রিকান পুরুষ মাগুরকে ইনজেকশনের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করানো হয়।
হাইব্রিড মাগুর মাছের রোগ (Hybrid magur fish diseases)
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদা: আফ্রিকান মাগুরের চেয়ে সুস্বাদু বলে সবার কাছে এ মাছের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ গড়ন আমাদের দেশী মাগুরের মত হওয়ায় জনসাধারণ এ মাছ সহজেই গ্রহন করছে।
এ মাছ দ্রুত বর্ধনশীল, সুশ্রী ও সুস্বাদু। ছোট জায়গায়, পুকুর এমনকি কেইজ কালচারের মাধ্যমে চাষ করা যায়। মাংস খুবই নরম।
দেশী মাগুরের চেয়েও ভালো। এর খাদ্য চাহিদা কম এবং অন্য মাছের সাথেও চাষ করা যায়।
হাইব্রিড মাগুর মাছের দাম : এ মাছ ৩মাসে ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে যা দেশী মাগুরের ক্ষেত্রে ১০/১২ মাস সময়ের প্রয়োজন। জাল বা পানি সেচের মাধ্যমে পরিপক্ক মাছ ধওে বাজারজাত করা যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি হাইব্রিড মাগুরের দাম ৪০০ থেকে ৮০০ থাকা।
হাইব্রিড মাগুর মাছ খাওয়া কি ভালো?