সাধারণ নাম: কার্ফু মাছ
বৈজ্ঞানিক নাম: সাইপ্রিনাস কার্পিও (Cyprinus carpio)
দেহের বিবরণ: কমনকার্প এর মাথা শরীরের তুলনায় খুব ছোট, পেট মোটা এবং পিঠ ধনুকের মত বাঁকানো। এর গায়ের রং হাল্কা বাদামি। সারা দেহ আঁশ দিয়ে ঢাকা। এর ডিম মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
প্রাপ্তিস্থান: চীন ১৯৬০ সালে থাইল্যান্ড থেকে আমাদের দেশে আনা হয়।
বাসস্থান: এ মাছ পুকুর বা জলাশয়ে পানির নিচের স্তরে বাস করে ।
রোগবালাই: কমনকার্পে বিভিন্ন ক্ষতরোগের আক্রমণ দেখা দেয়।
পুষ্টিমান: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ১৬.৬, ফ্যাট ২.৬, লোহা ১.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫১৪, ফসফরাস ৩৮২ মি.গ্রা. ও পানি ৭৬.৭ ভাগ।
খাদ্য: পুকুরের তলায় এ মাছ খাদ্য অন্বেষণ করে। এরা ছোট অবস্থায় প্রাণিকণা খায় এবং বড় হলে শৈবাল, প্লাষ্কটন, জলজউদ্ভিদ ও কাদামাটি খায়।
পুকুরের কাদার মধ্যে যেসব কীট ও পোকার জন্ম হয় কমনকার্প সেগুলো খেতেও ভালবাসে। এরা সর্বভুক। অর্থাৎ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী দু’টোই এরা খায়।
প্রজনন: বিদেশী মাছের মধ্যে কমনকার্প ৫/৬ মাস বয়স থেকেই ডিম পাড়ে। রুমনকার্পই বদ্ধ জলাশয়ে ডিম পাড়ে। বর্ষাকালে ও শীতের পরে বছরে দু’বার ডিম পাড়ে।
তাই এ মাছ চাষে পোনা সংগ্রহের কোন সমস্যা নেই। পুকুরের জলে ডিম থেকেই এদের বাচ্চা হয়।
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের কাছে চাহিদা: বিদেশী মাছের মধ্যে কার্ফু মাছের চাহিদাই সর্বাধিক। এ মাছ অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মন জয় করতে পেরেছি।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ: এ মাছ দ্রুত বাড়ে। যেহেতু বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের চাহিদাই বেশি।
সেজন্য চাষের এক বছরের মধ্যেই মাছ ধরা ও বাজারজাত করা উচিত। বর্তমানে এক কেজি কার্ফু মাছের দাম ১২০ হতে ১৬০ টাকা।