সাধারণ নাম : চ্যালা (Chela Fish), Large razorbelly minnow, Narkalichela
বৈজ্ঞানিক সাম : সালমোস্টোমা ব্যাসাইলা (Salmostoma bacaila)
বৈশিষ্ট্য : চ্যালা মাছের গায়ের রং রূপালি ও পাখনা হলুদ রঙের। নাক ও চোখ বড় কিন্তু মুখগহবর ছোট। চ্যালা মাছের ঠোঁট সেই, উপরের চোয়াল লম্বাটে ও শিরদাঁড়া একটু উঁচু।
প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান।
বাসস্থান : নদীনালা, খালবিল, পুকুর, ডোবায় সর্বত্র এ মাছ পাওয়া যায়। এ মাছ পানির উপরের স্তরে বাস করে।
রোগবালাই : এ মাছের পেটফোলা রোগ হয়ে থাকে।
উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ : চ্যালাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, লোহা ও ভিটামিন ’এ’ পাওয়া যায়। শিশুদেও জন্য এ মাছ খুবই উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ১৮.০, ফ্যাট ৪.১ ও লোহা ০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৫০, ফসফরাস ৩৬১ মি.গ্রা. ও পানি ৭৫.৫ ভাগ।
খাদ্য : এরা পোকা ও ক্ষুদে শ্যাওলা খায়। ভূষি, খৈল, কুঁড়া, ময়লা চ্যালা মাছের প্রধান খাদ্য।
প্রজনন : এক বছর বয়সে চ্যালা মাছ প্রজনন হয়। বর্ষাকালে এরা জলাশয়ে ডিম পাড়ে।
বিভিন্ন শ্রেনীর জনগনের কাছে চাহিদা : সর্বত্র পাওয়া যায় ও সস্তা বলে এ মাছ খেতে ও সুস্বাদু।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ : এ মাছ ২/৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। দ্রæত পচনশীল বলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বিক্রি করতে হয়।