লাল চান্দা মাছ (Chanda Fish): পরিচিতি: বৈশিষ্ট্য, উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ


সাধারণ নাম : লাল চান্দা (Chanda Fish), রাঙা চান্দা, ইংরেজি: Indian Glassy Fish

বৈজ্ঞানিক সাম : চান্দা রাঙ্গা (Chanda ranga)

বৈশিষ্ট্য : দেহ অত্যন্ত চ্যাপ্টা ও পাতলা। চান্দা প্রায় ৫০ মি.মি. লম্বা হয়। পিঠের উপর শক্ত কাঁটা পাতলা পর্দা দিয়ে সংযুক্ত।

কানকোর দু’ পাশে গলার নিচে পেটের কাছে পাখনা আছে। গায়ের রং স্বচ্ছ হলদে সাদা এবং সোনালি রঙের দাগ আছে। এ মাছ আঁশবিহীন, পিচ্ছিল ও শরীর থেকে লোলা বের হয়।

প্রাপ্তিস্থান : ভারত,বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, পাকিস্তান এসব দেশে পাওয়া যায়।

বাসস্থান : পুকুর, খালবিল, হাওড়বাওড়, নদীনালা, ডোবায় পানির উপরি স্তরে বাস করে।

রোগবালাই : এ মাছের উল্লেখযোগ্য কোনো রোগবালাই নেই।

উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ : প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ১৮.৮,ফ্যাট ০.৩ ও লোহা ১.০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮০ মি. গ্রা. ফসফরাস ২৭৫ মি.গ্রা. ও পানি ৯৭.৪ ভাগ।

খাদ্য : ছোট ছোট পোকামাকড়, শৈবালকণা এবং সম্পূরক খাদ্য হিসেবে কুঁড়া গমের ভ’ষি ও ফিসমিল দেয়া যেতে পারে।

প্রজনন : বর্ষাকালে প্রায় এক বছর বয়সে এ মাছ ডিম ছেড়ে বংশবিস্তার করে।

জনগনের কাছে চাহিদা : গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এ মাছের চাহিদা বেশি। এ মাছের শুটকি সকলের কাছেই প্রিয়। দৈর্ঘ্যে এক থেকে দেড় ইঞ্চি।

মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ : জাল দিয়ে ও পানি সেচের মাধ্যমে এ মাছ ধরা যায়। বাজারে প্রতি কেজি চান্দার দাম ৩০০/৫০০ টাকা।

আমি কৃষিবিদ তানজিম আহমেদ, কৃষি বিষয়ক ব্লগার।

You cannot copy content of this page