বোয়াল মাছ (Boal Fish) পরিচিতি: বৈশিষ্ট্য, পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

সাধারণ নাম: বোয়াল (Boal Fish)

বোয়াল মাছের বৈজ্ঞানিক নাম: ওয়ালাগোনিয়া আট্টু (Wallago attu)

বোয়াল মাছের ইংরেজি নাম: Helicopter Catfish

বোয়াল মাছের বৈশিষ্ট্য: দেহ লম্বা, দু’পাশে চাপা ও লেজের দিক ক্রমশ সরু। দেহের রং ফ্যাকাশে সাদা।

এর মুখের হা বড় এবং খুব ধারাল দাঁত আছে। বোয়াল মাছের দেহে কোনো আঁশ
থাকে না।

বোয়াল মাছ আকারে বেশ বড় হয়। পরিণত বোয়াল ৩-৪ ফুট লম্বা এবং
ওজন ২০/২৫ কেজি পর্যন্ত হয়।

বোয়াল মাছের ছবি

বোয়াল মাছের প্রাপ্তিস্থান: ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়।

বোয়াল মাছের বাসস্থান: পুকুর, খাল, বিল, নদীনালা প্রভৃতি মিঠা পানির জলাশয়ের সকল স্তরেবাস করে।

বোয়াল মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা: প্রতি ১০০ গ্রাম বোয়াল মাছে ১৮.০ গ্রাম প্রোটিন, ১.৯ গ্রাম ফ্যাট এবং
৪৯০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম ও ৪৯০ মি.গ্রা. ফসফরাস থাকে।

বোয়াল মাছের খাদ্য: বোয়াল রাক্ষুসে মাছ। বাচ্চা বোয়াল পানির পোকামাকড় ও ছোট ছোট
মাছ খায়। বড় বোয়াল ছোট থেকে মাঝারি আকারের মাছ ধরে খায়।
এছাড়া মরা পচা প্রাণীর দেহ এরা খেয়ে থাকে।

প্রজনন: প্রজনন ঋতু বর্ষাকাল বন্ধ জলাশয়ে বা স্রোতযুক্ত পানিতে এরা ডিম
ছাড়ে এবং সেখানেই ডিম হতে বাচ্চা ফুটে।

বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের কাছে চাহিদা: বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের কাছে বোয়াল মাছের বেশ চাহিদা আছে। তবে অনেক সময় রোগী ও গর্ভবতী মেয়েরা এ মাছ খায় না।

বোয়াল মাছের দাম: বোয়ালের ওজন দু’থেকে তিন কেজি হলেই ধরে বাজারজাত করা উচিত। কারণ বাজারে বড় বোয়ালের চাহিদা বেশি। বর্তমানে প্রতি
কেজি বোয়ালের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।

আমি কৃষিবিদ তানজিম আহমেদ, কৃষি বিষয়ক ব্লগার।

You cannot copy content of this page