ব্লাক কার্প (Black Carp) পরিচিতি: প্রাপ্তিস্থান, বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন

সাধারন নাম: ব্লাক কার্প (Black Carp) স্নেইল কার্প

বৈজ্ঞানিক নাম: মাইলোফেরিনগডন পিসেয়াস (Mylopharyngodon piceus )

দেহের বিবরণ: ব্লাক কার্প দেখতে গ্রাসকার্পের মতো তবে এর সমস্ত শরীর কই মাছের মত শক্ত আঁশে ঢাকা থাকে। এর পেছন ও দু-পাশ কালো রঙের কিন্তু পেট ধূসর । এ মাছের দাঁত খুবই শক্ত যা দিয়ে এরা শামুক জাতীয় প্রাণী খায়।

প্রাপ্তিস্থান: চীন। সত্তর দশকে আমাদের দেশে প্রথম আমদানি করা হয়।

বাসস্থান: এ মাছ পুকুর, খাল-বিল, নদী ও অন্যান্য জলাশয়ে পানির নিচের স্তরে বাস
করে থাকে।

রোগবালাই: ব্লাক কার্প এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। তবে অনেক সময় পুকুরে
এ মাছকে ক্ষতরোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

পুষ্টিমান: প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ১৮.৫ গ্রাম প্রোটিন, ১.১ গ্রাম ফ্যাট এবং ৩৮২ মি. গ্রা.
ফসফরাস ও ৩৩৫ মি. গ্রা. ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

খাদ্য: এ মাছ ছোট অবস্থায় জুপ্লাঙ্কটন, পানির ছোট পোকামাকড়, লার্ভা, ডিম খায়।
বড় হয়ে প্রচুর শামুক খায়। সরিষার খৈল, চালের কুঁড়া, গমের ভূষি ইত্যাদি ও খেয়ে থাকে।

এ মাছ প্রচুর পরিমানে শামুক খায় বলে একে স্নেইল কার্পও (শামুকখেকো রুই) বলা হয়। মাছ চাষের অন্যতম শত্রু শামুক দমনে এ মাছ চাষের প্রয়োজন আছে। শামুক খাওয়ার ফলে অন্যান্য পরজীবী ও ব্লাক কার্প মাছ দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা যায়।

প্রজনন: বদ্ধ পানিতে ব্লাক কার্প ডিম পাড়ে না। কত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপন্ন
করা হয়। কোট চাঁদপুরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ফিশ হ্যাচারি কমপ্লেক্স হতে পোনা
মাছ সংগ্রহ করা যেতে পারে।

বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদা: ব্লাক কার্প বিদেশী মাছ হলে ও বাজারে এ মাছের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মাছ ধরা ও বাজারজাত করণ: এক বছরের মধ্যে ২-৩ কেজি ওজনের হয়ে থাকে এবং ৪-৫ বছরে ১৫-২০ কেজি ওজন হয়। কিন্তু ৫.০ কেজি হতে ২.৫ কেজি ওজনের মাছেরই বাজারে চাহিদা বেশি।

সুতরাং মাছের ওজন দুই/আড়াই কেজি হলে ধরা ও বাজারজাত করা উচিত। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্লার্ক কার্প এর দাম ৩০০ হতে ৩৫৫ টাকা।

আমি কৃষিবিদ তানজিম আহমেদ, কৃষি বিষয়ক ব্লগার।

You cannot copy content of this page