সাধারণ নাম : বেলে মাছ (Bele fish), বাইলা, বাইল্লা
বেলে মাছের বৈজ্ঞানিক নাম : গ্লোসোগোবিয়াস গিউরিস (glossogobius giuris)
বেলে মাছ ইংরেজি: Tank goby
বেলে মাছের বৈশিষ্ট্য, দেহের বিবরণ : এ মাছের শরীর অনেকটা বেলনার মত। মাথা চোখা, মুখের নিচের চোয়াল লম্বাটে। ঠোঁট পুরু, চোয়ালের দাঁত, শরীরের উপরের দিকে ধূসর রঙের। সমস্ত দেহ পাতলা আঁশে ঢাকা। পিঠের মাঝখানে কাঁটাবিহীন পাখনা আছে।
প্রাপ্তিস্থান : ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে এ মাছ পাওয়া যায়।
বাসস্থান : নদীনালা, খাল, বিল, পুকুর, হাওড়বাওড় ইত্যাদিতে পানির নিচের স্তরে মাটির উপরে বাস করে।
রোগবালাই : এ মাছের তেমন কোনো রোগবালাই নাই। তবে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ওষুধ ও সার প্রয়োগের ফলে এ মাছের ক্ষতরোগ দেখা দিচ্ছে
বেলে মাছের উপকারিতা: প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে প্রোটিন ১৪.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৫ গ্রাম, লোহা ১.০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৭০ মি.গ্রা. এবং ফসফরাস ৩৩০ মি.গ্রা. থাকে।
খাদ্য : আমিষপ্রিয় এ মাছ জলজ পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, ছোট মাছ যেমন গুড়া চিংড়ি, পচা জলজ উদ্ভিদ ইত্যাদি খায়।
প্রজনন : সারা বছর বিশেষত বর্ষাকালে এক বছর বয়সেই এ মাছ প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে ও ডিম পাড়ে।
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের কাছে চাহিদা : বাজারে বড় বেলে মাছের চাহিদা ভালো এবং দামও বেশ চড়া।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ : এ মাছ লম্বায় ৩৫০ মিলি মিটার পর্যন্ত হয়। জাল, বঁড়শি, সেচ ও অল্প পানিতে হাত দিয়ে ধরা হয়। প্রতি কেজি বড় বেলে মাছের দাম ০ থেকে ১০০ টাকা।
বেলে মাছের ছবি
বড়চোখা বেলে
বেলে মাছের রেসিপি
বেলে মাছের ঝোল
সুস্বাদু বেলে মাছের চচ্চড়ি
বেলে মাছের ঝুরি
বেলে মাছের খোঁট
বেলে/বাইলা মাছ ভুনা
নদীর বেলে