বাইম মাছ (Baim Fish, Mastacembelus armatus) খুব সুস্বাদু একটি মাছ।
সাধারণ নামঃ বাইন/বাইম
শ্রেণীবিন্যাস
- Kingdom: Animalia
- Phylum: Chordata
- Class: Actinopterygii
- Order: Synbranchiformes
- Family: Mastacembelidae
- Genus: Mastacembelus
- Species: M. armatus
বৈজ্ঞানিক নামঃ মাস্তাসেমবিলাস আর্মাটাস (Mastacembelus armatus)
দেহের বিবরণঃ বাইম মাছ লম্বা। মুখ সুঁচালো। লেজের অংশে অনেকটা জুড়ে ফুল ফুল
ছোপ আছে।
পিঠের উপর করাতের দাঁতের মত কাঁটা এবং নাভিমূলে শক্ত একটা কাঁটা আছে। কানের দু’পাশে দু’টি ফুলকা আছে।
গায়ের রং পিঠের দিকে গাঢ় বাদামি ও নিচের দিকে হালকা হলুদ। পিঠ কালো ডোরা আছে।
প্রাপ্তিস্থানঃ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। এ
মাছ আঁশবিহীন ও পিচ্ছিল।
বাসস্থানঃ পুকুর, খাল-বিল, ডোবা-নালা, ধানক্ষেত, হাওড়-বাওড় ইত্যাদিতে পানির
নিচের স্তরে বিশেষত কাদার মধ্যে বাস করে।
রোগবালাইঃ কীটনাশক ওষুধ ও রাসায়নিক সার অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে দেহে ও
লেজে ক্ষতরোগের সৃষ্টি হয়।
পুষ্টিমানঃ বাইম মাছের প্রচুর প্রোটিন ও চর্বি আছে।
খাদ্যঃ এ মাছ সর্বভুক। পচা জলজ উদ্ভিদ, ছোট মাছ, কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় ও গলিত মৃতদেহ খায়।
এ মাছ কাদার নিচে গর্তে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ মাছ ডিম ছেড়ে প্রজনন করে। দৈর্ঘ্যে বাইম মাছ আধা থেকে দু হাত লম্বা হলেই প্রজননক্ষম হয়।
প্রজননঃ ট্যাংরা মাছ প্রথম বছরে প্রজনন উপযোগী হয়। বর্ষাকালে স্ত্রী ট্যাংরা পুকুর, খালে, বিলে ডিম পাড়ে।
ট্যাংরা মাছের ডিম জলজ আগাছার সাথে যুক্ত থাকে। পিটুইটারি গ্রন্থিতে ইনজেকশনের সাহায্যে কৃত্রিম প্রজনন করানো যায়।
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদাঃ গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে বাইম মাছের চাহিদা খুব বেশি। শহরাঞ্চলে অনেকেই এ মাছ খায় না।
মাছ ধরা ও বাজার জাতকরণঃ জাল, বড়শি, কোচ ও সেচের মাধ্যমে এ মাছ ধরা যায়। প্রতি কেজি মাছের দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।