সাধারণ নাম: আফ্রিকান মাগুর বা রাক্ষুসে মাগুর (African Magur, Clarias gariepinus)
আফ্রিকান মাগুর মাছের বৈজ্ঞানিক নাম: ক্লারিয়াস গারিয়ে পিনাস (Clarias gariepinus)
- Kingdom: Animalia
- Phylum: Chordata
- Class: Actinopterygii
- Order: Siluriformes
- Family: Clariidae
- Genus: Clarias
- Species: C. gariepinus
আফ্রিকান মাগুর মাছের ইংরেজি নাম: Walking Catfish
আফ্রিকান মাগুর মাছের বৈশিষ্ট্য: আফ্রিকান মাগুর মাছের মাথা চ্যাপ্টা, মুখ চওড়া, মাথার সম্মুখে গোঁফ আছে। এ মাছের দেহ আঁশবিহীন, লম্বা এবং বেশ মোটা হয়ে থাকে। দেহের সামনের দিক প্রায় গোল, কিন্তু পেছনের দু’পাশ চ্যাপ্টা।
আফ্রিকান মাগুর মাছের ছবি
আফ্রিকান মাগুর মাছের প্রাপ্তিস্থান: আদি নিবাসস্থল আফ্রিকায়। বাংলাদেশে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে।
আফ্রিকান মাগুর মাছের বাসস্থান: পুকুর, মিনি পুকুর, বাড়ির আশপাশের গর্ত ও ছাদের উপরের চৌবাচ্চায় চাষ করা যায়।তবে ছোট আকারের পুকুরে এর চাষ সহজ। এরা সাধারণত জলাশয়ে পানির নিচের স্তরে থাকে।
মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা: প্রতি ১০০ গ্রাম মাগুরে ৩২.০ গ্রাম প্রোটিন, ১.০ গ্রাম ফ্যাট, ১৭২ মি. গ্রা. ক্যালসিয়াম ,৩০০ মি.গ্রা. ফসফরাস থাকে।
আফ্রিকান মাগুর মাছের খাদ্য: এ মাছ সব কিছু খায় বলে এর অপর নাম রাক্ষুসে মাছ। গবাদি পশুর রক্ত ৪০%, গমের ভ’ষি ২০%, কুঁড়া ২০% ও সরিষার খৈল ২০% দিয়ে তৈরি সম্পূরক খাবার দিলে দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। রাক্ষুসে স্বভাবের এ মাছ মানুষ এবং গবাদি পশুর মাংস পর্যন্ত খেয়ে ফেলে। মৃত জীব জন্তুও নাড়িভূঁড়ি এর প্রিয় খাদ্য।
প্রজনন: এ মাছ প্রথম বছরেই প্রজনন উপযোগী হয়।
বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনের কাছে চাহিদা: এ মাছের চাহিদা ধীর গতিতে বাড়ছে, যদিও অনেকেই এ মাছ খাননা। গ্রামীণ জনসাধারণের কাছে এ মাছ রাক্ষুসে মাছ হিসেবে পরিচিত। এ মাছ সম্পর্কে নানা রকমের কু-সংস্কার আছে।
আফ্রিকান মাগুর মাছের দাম (African magur mach price in bangladesh): শক্ত প্রকৃতির এ মাছ দ্রæত বর্ধনশীল।ছোট জায়গায় কিছুটা বিরূপ পরিবেশের পানিতে ও সারা বছর এর চাষ করা যায়। জাল দিয়ে এবং পানি সেচের মাধ্যমে এ মাছ ৩ মাসের মধ্যে আহরণ করে বাজারে বিক্রি ও বিদেশে রফতানি কওে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি মাগুরের দাম ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা।
আফ্রিকান মাগুর মাছ নিষিদ্ধ কেন?