কালিবাউশ মাছ (Kalibaus Fish, Labeo calbasu) অনেক দেশে একটি জনপ্রিয় মাছ। মাছ সাধারণত ভাত বা আলু এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
সাধারণ নাম : কালবাউশ/ কালিবাউশ/ বাউশ
বৈজ্ঞানিক নাম : লাবিও কালবাসু (Labeo calbasu)
- Kingdom : Animalia
- Phylum : Chordata
- Class : Teleostei
- Order : Cypriniformes
- Family : Cyprinidae
- Genus : Labeo
- Species : Labeo calbasu
দেহের বিবরণ : কালবাউশের সমস্ত শরীর ঘন কালো বা ধূসর আঁশে ঢাকা। দেহের তুলনায় মাথা ছোট। এর চোখ লাল রঙের।
মুখের দু’পাশে এক জোড়া গোঁফ থাকে এবং সর্বোচ্চ ৭৫ সে. মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। রুই ও কাতলা মাছের তুলনায় এ মাছ দ্রুত বর্ধনশীল নয়। দেহের দু’পাশে পাশ্বরেখা থাকে।
প্রাপ্তিস্থান : দক্ষিন এশিয়ার সর্বত্র এ মাছ পাওয়া যায়।
বাসস্থান : খাল, বিল, নদীনালা, পুকুর ইত্যাদি জলাশয়ে পানির নিচের স্তরে এ মাছ বাস করে।
রোগবালাই : কালবাউশ মাছ লেজ ও পাখনা পচা রোগ, ফুলকা পচা রোগ, উকুন ও পরজীবীর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
পুষ্টিমান : প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে প্রোটিন, ১৫.৫ গ্রাম, ফ্যাট ২.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩৫ মি.গ্রা. ফসফরাস ৩৮২ মি.গ্রা পাওয়া যায়।
খাদ্য : কালবাউশ মাছ পানির একেবারে নিচে বাস করে এবং সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করে।
পোনা অবস্থায় এরা এককোষী শ্যাওলা, পচা ও আধপচা জলজ উদ্ভিদ ও কীটপতঙ্গ খায়। পরিণত বয়সে পচা ও আধপচা জলজ উদ্ভিদ খায়। বালি, কাঁকর ও কাদামাটি খেতেও কালবাউশ পছন্দ করে।
প্রজনন : বর্ষাকালে এরা স্রোতযুক্ত পানিতে ডিম পাড়ে। কালবাউশ বদ্ধ পানিতে ডিম পাড়ে না। এ মাছ প্রথম বছওে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা, দ্বিতীয় বছরে সাধারণত যৌবনপ্রাপ্ত হয়।
রুই কাতলার মতই এর ডিম নদী হতে সংগ্রহ করতে হয় এবং কৃত্রিম উপায়ে নিষিক্ত করতে হয়।
তাছাড়া ইনজেকশন দিয়ে এর কৃত্রিম প্রজনন করানো যায়। বাংলাদেশের সকল অঞ্চলেই হ্যাচারি হতে পোনা সংগ্রহ করা যায়।
জনগনের কাছে চাহিদা : বাজারে কালবাউশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশ কম। তাই এ মাছের বাজার ধর ভালো।
তবে সবাই কালবাউশ মাছ খায় না। বিশেষ করে শহরের লোকেরা এবং মহিলারা এ মাছ খুব একটা পছন্দ করে না।
মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণ : এ মাছ দ্রুত বর্ধনশীল নয় বলে প্রথম বছরে না ধরাই শ্রেয়।দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে এ মাছ ধরা ও বাজারজাত করা যেতে পারে বর্তমানে প্রতি কেজি কালবাউশের দাম ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা।